২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে সেঞ্চুরির পর মিসবাহ–উল–হকের পুশ আপের দৃশ্য কে ভুলতে পারেন? ৭৫ রানে সেই টেস্ট জিতে পুরো দলকে নিয়েই মাঠের মাঝখানে পুশ আপ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক। ম্যাচটিকে তো সবাই ‘দ্য পুশড আপ টেস্ট’ নামে মনে রেখেছেন।
ঐতিহাসিক লর্ডসের ২২ গজে প্রায় ৩০০ মিনিট কাটিয়ে পাওয়া সেঞ্চুরির পর মিসবাহ যখন গোটা দশেক বুক ডন দেন, তখন তাঁর বয়স ৪২ বছর! এরপর আরও ১০ মাস খেলে অবসরে গেছেন। বয়স যে শুধুই একটা সংখ্যা, মিসবাহ প্রমাণ করেছেন ফিটনেস লেভেল দিয়েও। নয়তো কী আর মাঝ–চল্লিশেও শরীরী ভাষায় তারুণ্য ফুটিয়ে তুলতে পারতেন!
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানতে না টানতেই পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মিসবাহ। প্রশিক্ষকের ভূমিকাতেও তাঁকে দেখা গেছে ফিটনেস সচেতন। এ নিয়ে ছাড় দেননি এক চুলও। ছয় বছরের ব্যবধানে সেই মিসবাহই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ফিটনেসের উল্টো চিত্র দেখছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানে নামার আগমুহূর্তে বাবর আজমের দলের স্বাস্থ্যগত উদাসীনতায় বেজায় চটেছেন। সাবেক শিষ্যদের ফিটনেসের মাত্রা তাঁর কাছে একধরনের তামাশা মনে হচ্ছে। একটি টিভি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ওদের ফিটনেস ঘাটতি এখন দৃশ্যমান। এটা লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই। ওয়াকার ইউনিস চারবার (কোচের) দায়িত্ব ছেড়েছেন, আমি একবার ছেড়েছি। আমার, শোয়েব মালিক ও ইউনিস খানের মতো খেলোয়াড়েরা সব সময় ফিটনেস নিয়ে ভেবেছি। একে-অপরকে অনুপ্রাণিত করেছি। তবে গণ্ডির বাইরে গিয়ে এ ব্যাপারে কাউকে সচেতন হতে বলা হলে তারা আমাদের খারাপ প্রশিক্ষক বা খারাপ কোচ ভাবত।’